পিঠা উৎসব বাঙালী সংস্কৃতির এক অনুপম অনুষঙ্গ। বিশেষ করে শীত মৌসুমে পিঠার কদর অনেকগুন বেড়ে যায়। কেননা এ সময়ে পিঠা তৈরির উপকরণ সমূহ বেশ সহজলভ্য। বিশেষ করে খেজুরের রস আর নতুন ধানের আলো চাল। গুলশান ক্লাব বাঙালিয়ানায় বরাবরই অধিকতর যত্নবান। ক্লাবের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবারও আয়োজন করা হয় উৎসবমুখর ’পিঠা উৎসব ২০২০’। ১১ জানুয়ারি, শনিবার ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা হতে না হতেই ক্লাবের সম্মানিত সদস্যবৃন্দের সপরিবারে ক্লাব লন ও টেনিস কোর্ট এ উপস্থিতিই প্রমাণ করে যে, এই পিঠা উৎসবটির জন্য তাঁরা সারা বছর ধরে গভীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে থাকেন। ক্লাব লন ও টেনিস কোর্ট-এ শুভ্র বসনা রমণীদের সারিবেঁধে পিঠা তৈরীর নান্দনিক দৃশ্যও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উৎসবে ভাপা পিঠা, পাটিসাপ্টা পিঠা, চিতই পিঠা, চাপরি পিঠা, ছিট পিঠা, হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, সরিষা ভর্তা, ধনে পাতা ভর্তা, চাপা শুটকি ভর্তা, রেশমি জিলাপি এবং ড্যানিশ সিমলা চা পরিবেশন করা হয়। উৎসবের আবহে ভাল লাগার নতুন মাত্রা যুক্ত করে বাংলাদেশ একাডেমির নৃত্যালেখ্য ‘রূপসী বাংলা’, শিরোনামে- পিঠা তৈরি, নৌকা বাইচ, মাছ ধরা, ঢোল, বাউল, পুতুল নাচ, ধান কাটা ও বিয়ে, সাঁওতাল নৃত্য, মনিপুরী নৃত্য, সাপুড়ে নৃত্য, ধামাইল নৃত্য এবং মোবারক ঢুলির দল সম্পর্ক-র পরিবেশনায় ঢোল-কাঁসা-সানাই বাদ্য বাংলা ঢোল পরিবেশিত হয়। এছাড়া পিঠা পুলি ও বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্বলিত গানও পরিবেশিত হয় অনুষ্ঠানে। জনাব আজিজ আল মাহমুদ (পিএ-৭৪), ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড্যানিশ ফুডস্ লিঃ এর সৌজন্যে আয়োজিত ড্যানিশ পিঠা উৎসব ২০২০ গুলশান ক্লাব পরিবারের সব বয়সের সদস্যগণ আনন্দের সাথে উপভোগ করেন।